ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

পেকুয়ায় দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত-৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, পেকুয়া:

পেকুয়ায় দু’পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ ৭ জন আহত হয়েছে। পেকুয়ায় বোন ও ভাইকে কুপিয়ে জখম করল মাতাল ভাই। স্থানীয়রা এ দুইজনকে উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। তবে ওই ঘটনায় পুলিশের উস্কানিকে দায়ী করেছে প্রত্যক্ষদর্শীরা। ঘটনার জের ধরে উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের নতুনঘোনা পেকুয়ারচর গ্রামে ভাই বোনের বিরোধকে ঘিরে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। ১১ জুন দুপুর ২ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন নতুনঘোনা এলাকার মৃত মজলিশ মিয়ার ছেলে মফিজুর রহমান(৪২) ও তার বোন স্বামী পরিত্যক্ত মমতাজ বেগম(৩৫)। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মৎস্য ঘেরের পানি চলাচল পথের জমি নিয়ে মজলিশ মিয়ার ছেলে মফিজুর রহমান গং ও তার ভাই মাহফুজ মিয়ার মধ্যে বিরোধ চলছিল। ওই অংশের জমি মজলিশ মিয়ার স্ত্রী ফাতেমা বেগম ৩ ছেলে ও মেয়ে মমতাজ বেগমের নামে অছিয়ত নামা মুলে দলিল সম্পাদন করে। ওই দিন দুপুরে মফিজ পানি চলাচল পথে জাল পাঁতে। এ সময় মাহফুজ সহ তার ৩ ছেলে ধারালো অস্ত্র নিয়ে বড় ভাই মফিজকে কুপিয়ে জখম করে। এ সময় ছোট বোন মমতাজ বেগম ভাইকে উদ্ধার করতে যায়। তাকেও এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশে জখমের চিহ্ন আছে। আহত মমতাজ বেগম জানায়, মাহফুজ পেকুয়া থানায় দালালী করে। সে পুলিশের সোর্স। প্রায় সময় নেশাগ্রস্ত। প্রায় সময় মাতাল অবস্থায় থাকে। ওই দিন আমার ভাইকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়। এর ১ দিন আগে পেকুয়া থানার এস,আই জাকির এসে গভীর রাতে আমার ভাই ছাবেরকে অহেতুক কিল ঘুষি মারে। মহিলাদের গালি দিয়েছেন। ভাই বোনের বিরোধে পুলিশের এ আচরন আমাদের অধিকারের উপর অবিচার হয়েছে। পুলিশ মাহফুজকে উস্কানি দিয়েছে। সে পুলিশের বল পেয়ে এ ভাবে হয়রানি ও আক্রমন করছে। তবে এ বিষয়ে জানতে মাহফুজের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয়। তিনি জানান, তারা অন্যায়ভাবে আমার তিন ছেলেকে কুপিয়ে জখম করে। স্ত্রীও আহত। এরা ৪ জনকে পেকুয়া হাসপাতালে ভর্তি করি। ২ জনকে চমেকে রেফার করা হয়। ফরহাদ ও আমার স্ত্রী মিনারা আক্তার এর জখম বেশী। আরমান ও প্রতিবেশী জয়নাল আবদীনের ছেলে ফরহাদ উদ্দিনকেও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ছাবের মামুন, মফিজ, ছকিনা, হালিম, রোকেয়া সহ ১০/১২ জন হামলা চালায়।

পাঠকের মতামত: