ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

পর্যটন শিল্প বিকাশে রেডিয়েন্ট ফিশ ওয়ার্ল্ড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে -পর্যটন প্রতিমন্ত্রী

এম.এ আজিজ রাসেল, কক্সবাজার ::

দেশের পর্যটনের উন্নয়নে সরকার নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। বিশেষ করে কক্সবাজারের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতার কমতি নেই। পর্যটনের স্বার্থে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারিভাবে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। সেক্ষেত্রে কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প বিকাশে রেডিয়েন্ট ফিস ওয়ার্ল্ড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রেডিয়েন্ট ফিস ওয়ার্ল্ডে সী অ্যাকুরিয়াম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের উপরোক্ত কথা বলেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী। তিনি আরও বলেন, রেডিয়েন্ট ফিস ওয়ার্ল্ড স্থানীয় ও পর্যটকদের আনন্দের মাত্রা বাড়িয়ে দেবে। এটি যেন মিনি সাগর। এখানে গভীর সাগর তলের নানা রহস্যের পাশাপাশি, জীববৈচিত্র্য ও অজানা মাছের সম্পর্কে জানা যাবে। মানুষ থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে গিয়ে সী-অ্যাকুরিয়াম অবলোকন করেছে। তবে এখন রেডিয়েন্ট ফিস ওয়ার্ল্ড দেশের মানুষের সেই চাহিদা পূরণ করেছে।

পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মুহিবুল হক, পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান খান কবির, রেডিয়েন্ট ফিস ওয়ার্ল্ডে ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ সফিকুর রহমান চৌধুরী ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ওশ্যানোগ্রাফী বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডঃ মোঃ মোসলেম উদ্দিন।

রেডিয়েন্ট ফিস ওয়ার্ল্ডে ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ সফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, বিগত ২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর থেকে ফিস ওয়ার্ল্ড সাগরতলের রহস্য উন্মোচনের লক্ষ্যে একটি ব্যতিক্রমধর্মী ও চ্যালেঞ্জিং পর্যটন ও শিক্ষা মূলক বিনোদন কেন্দ্রের যাত্রা শুরু করেছে। বঙ্গোপসাগরের সামুুদ্রিক জীববৈচিত্র, অবারিত সম্পদ ও শক্তির উৎস বাংলাদেশকে করে তুলেছে অপার সম্ভাবনার এক দেশ। শুধুমাত্র সমুদ্রের উপরিভাগের দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হওয়ার গতানুগতিক ধারা থেকে বেরিয়ে সমুদ্রের গভীরের অদেখা জগৎ সামুদ্রিক জীব বৈচিত্র্য সম্পর্কে জানাতে রেডিয়েন্ট ফিস ওয়ার্ল্ড পর্যটনের এক নতুন ধারা সৃষ্টি করেছে। যেখানে ইকোট্যুরিজম বান্ধব নির্মল বিনোদনের পাশাপাশি সমুদ্র শিক্ষার এক দারুন সুযোগ রয়েছে। এখানে রয়েছে প্রায় দুই শতাধিক প্রজাতির জীবন্ত সামুদ্রিক প্রাণির সমাহার। এর মধ্যে আছে হারেক রকমের অক্টোপাস, শামুক, হাঙ্গর, কাঁকড়া, চিংড়ি, জেলিফিসসহ সমুদ্রের জানা-অজানা অনেক আকর্ষণীয় মাছ। প্রতিদিন যোগ হচ্ছে স্বাদু ও লোনা পানির নতুন নতুন বিচিত্র প্রজাতির মাছ ও নয়নাভিরাম সৌন্দর্য্যরে ছোঁয়া। বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত ও পর্যটন নগরী কক্সবাজারের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ও এ্যাকুরিয়ামটি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ভ্রমণ পিপাসু, সমুদ্রগামী, শিক্ষার্থী ও সাধারণ পর্যটকদের ব্যাপক আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। এ্যাকুরিয়াম ভিত্তিক আনন্দ-বিনোদনের পাশাপাশি তরুণ প্রজন্ম ও সাধারণ মানুষের মাঝে এ্যাকুরিয়াম, সমুদ্র, সামুদ্রিক সম্পদ ও পরিবেশ বিষয়ক জ্ঞান ছড়িয়ে দিতে রেডিয়েন্ট ফিস ওয়ার্ল্ড যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করছে। এই লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে আমাদের শিক্ষা ও গবেষণা উইং “রেডিয়েন্ট ওশ্যান রিসার্চ এন্ড এডুকেশন সেন্টার (রোরেক)”।

পাঠকের মতামত: