ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ায় অসহায় মহিলার বাড়িভিটার জমি দখলে হামলা, হুমকির অভিযোগ

চকরিয়ায় অসহায় মহিলার বাড়িভিটা দখলে নিতে এভাবে জায়গার মাঝখানে স্থাপনা নির্মাণ করেছে প্রভাবশালী মহল।

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::

চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নে শাহিন আক্তার নামের এক অসহায় মহিলার বসতভিটার জায়গা দখলে হামলা চালিয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালী দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় আক্রান্ত পরিবারটির গৃহকর্ত্রী বাদি হয়ে জড়িত পাঁচজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দেয়ার পরও জায়গা দখলে নিয়ে সেখানে নতুন স্থাপনা নির্মাণের অপচেষ্ঠা চালাচ্ছেন অভিযুক্তরা। এ ঘটনায় স্থানীয় লোকজনের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

চকরিয়া থানায় অভিযোগে বরইতলী ইউনিয়নের ৪নম্বর ওয়ার্ডের উপরপাড়া গ্রামের মৃত আলী আকবরের মেয়ে শাহিন আক্তার (৫০) জানান, বরইতলী মৌজার বিএস ১৮২৬ নং খতিয়ানের ১৩,৩৫৯ দাগের পৈত্রিকসুত্রে প্রাপ্ত জমিতে বাদিনীর বসতঘর। উল্লেখিত জমি বিএস রের্কডীয় ও ভোগদখলীয় রায়ত্বীমুলে মালিক হন বাদিনীর ফুফু জরিনা খাতুন। তিনি মরনে কোন সন্তান না থাকায় উল্লেখিত জমি আইন ও শরীয়ত মোতাবেক ওয়ারিশমুলে মালিক হন জরিনা খাতুনের ভাই (বাদিনীর বাবা) আলী আকবর।

বাদিনী শাহিন আক্তার জানান, তাঁর বাবা আলী আকবর মারা গেলে এতমাত্র ওয়ারিশ হিসেবে উল্লেখিত জমির মালিক হন তিনি (শাহিন আক্তার)। তিনি উল্লেখিত জমিতে বসতঘর নির্মাণ করে সেই থেকে শান্তিপুর্ণভাবে ভোগদখলে রয়েছেন।

কিন্তু ঈদের দুইদিন পর গত ৮ জুন সকালে কুটকৌশলের আশ্রয় নিয়ে আমার উল্লেখিত বসতভিটার ওই জায়গা দখলের জন্য হামলা চালায় প্রতিবেশি ফজল করিমের ছেলে মামুন, মৃত আবদুর রহমানের ছেলে রুহুল কাদের, তাঁর স্ত্রী বুলবুল আক্তার, ফজল করিমের ছেলে মিনারুল ইসলাম, মৃত আবদুল কাদের এর ছেলে জাফর আলমসহ একটি প্রভাবশালী মহল।

ভুক্তভোগী অসহায় মহিলা শাহিন আক্তার অভিযোগ করেছেন, হামলার সময় তাঁরা ব্যাপক ভাংচুর করেছে। বাঁধা দিতে গেলে আমাকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে দুর্বৃত্তরা। তারপর সেখানে গাছ, বাঁশ ও টিন মজুদ করে সেখানে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ কাজ শুরু করেছে। এ ঘটনায় আমি ঘটনারদিন বিকালে অভিযুক্ত ৫জনকে আসামি করে চকরিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। থানার ওসি আমার অভিযোগটি আমলে নিয়ে আইনী ব্যবস্থা নিতে থানার এসআই আবদুল বাতেনকে নির্দেশ দিয়েছেন।

বাদি শাহিন আক্তার জানান, অভিযোগটি দেয়ার পর থানার এসআই আবদুল বাতেন ঘটনাস্থলে গিয়ে অবৈধ নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। কিন্তু পুলিশ চলে আসার পরপর পুনরায় অভিযুক্ত নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেখেছে। সর্বশেষ এ ঘটনায় গত ৯ জুন আক্রান্ত পক্ষের মৃত দুদু মিয়ার ছেলে রুহুল কাদের বাদি হয়ে চকরিয়া থানায় আরও একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেখানে ৬জনকে আসামি করেছেন। বর্তমানে অভিযুক্তরা জায়গা দখলের পাশাপাশি বাদিনী ও তাঁর পরিবারকে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগী। #

পাঠকের মতামত: