ঢাকা,শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

বদরখালীতে রমরমা মাদকের হাট বিপদগামী হচ্ছে যুবসমাজ: দেখার কেউ নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া ::

চকরিয়া উপজেলার উপকূলীয় জনপদ বদরখালীতে জমজমাট হয়ে উঠেছে মাদক বেচাকেনার হাট। পাশাপাশি থেমে নেই জুয়ার আসরের অবাধ বাণিজ্য। প্রশাসনের ধীরেচলো নীতির সুযোগে এলাকার বিভিন্ন স্পটে গড়ে উঠছে এসব মাদকের আখড়া। এ অবস্থার কারনে নিত্যদিন মাদকের আখড়া ও জুয়ার আসর লাগোয়া সড়কে যাতায়াত করতে গিয়ে যুবসমাজের পাশাপাশি স্কুল ও কলেজ পড়–য়া শিক্ষার্থীরা তরুণরা বিপদগামী হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন এলাকার সচেতন মহল।

স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করেছেন, বদরখালী পুলিশ ফাড়িঁর লোকজন নানা কৌশলে এসব মাদকের আখড়া ও জুয়ার আসর থেকে নিয়মিত বখরা আদায় করেন। সেই কারনে এসব অনৈতিক কর্মকা- বন্ধে পুলিশের এ্যাকশন একেবারে নেই বলে চলে। ফলে দিনের পর দিন অভিযুক্ত মাদক বব্যসায়ারী ধরাচোয়ার বাইরে থেকে চালিয়ে যাচ্ছে রমরমা মাদক বাণিজ্য।

স্থানীয় লোকজনের দাবি, বর্তমানে বদরখালী ইউনিয়ন নেশার রাজ্যে পরিণত হচ্ছে দিন দিন। যুব সমাজ উঠতি বয়সের ছেলেদের পাশাপাশি স্কুল কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা হাত বাড়ালে পাচ্ছে ইয়াবা, গাঁজা, ফেন্সিডিল, হেরোইন, চোলাই মাদকসহ সবধরণের মাদক। এসব মাদকদ্রব্য সহজে হাতের নাগালে পেয়ে যুব সমাজ ধাবিত হচ্ছে ধবংসের ধারপান্তে। অবশ্য ইতোমধ্যে পুলিশের অভিযানে মদ, গাঁজাসহ কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতারের পর কারাগারে প্রেরণ করলেও তারা জামিনে এসে আবারও জড়িয়ে পড়ছে মাদক ব্যবসায়।

এলাকাবাসি অভিযোগ তুলেছেন, বদরখালীর আলোচিত মাদক কারবারী জিয়াবুল করিম মাধ্যমে পুরো উপকুলীয় জনপদে মাদকের অবাধ বাণিজ্য ছড়িয়ে পড়েছে। তার আখড়ায় প্রায় প্রতিদিন মাদকসেবী লোকজনের আনা-গোনা বেড়েছে। জিয়াবুল করিমের পাশাপাশি তার স্ত্রী রহিমা বেগম কক্সবাজার থেকে মাদক পরিবহনে কাজ করেন বলে এলাকায় জনশ্রুতি রয়েছে। এমনকি তাঁর পরিবারের অনেকে এ অনৈতিক বাণিজ্যে জড়িত আছেন বলে দাবি করেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।

চকরিয়া থানার ওসি মো. হাবিবুর রহমান বলেন, মাদকের ব্যাপারে জড়িতদেরকে কোন ধরণের ছাড় দেয়া হবেনা। ইতোমধ্যে পুলিশের অভিযানে একাধিক মাদক কারবারী আটক ও বিপুল পরিমাণ মাদক জব্দ করা হয়েছে। নতুন করে কেউ মাদক কারবারে জড়িত আছে সেইধরণের অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। #

পাঠকের মতামত: