ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

নির্দেশনা অমান্য করে মহেশখালীর কালারমারছড়া বাজারে গরু জবাই

মহেশখালী প্রতিনিধি ::
পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে গরু জবাই না করতে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা মানেন নি অনেকেই। মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া বাজার এলাকায় প্রচুর পরিমাণ গরু জবাই করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। প্রশাসনের চোখ এড়াতে অনেকে রাতের বেলায় কাজ সেরে ফেলেছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে।

তবে, কালারমারছড়া প্রধান বাজার পুলিশ ক্যাম্পের পাশে প্রতিদিন গরু জবাই করলেও আজকে বৃহস্পতিবার গরুর মাংস বিক্রি করতে দেখা যায় নি। কৌশলে গরু জবাই করে উপজেলার কালারমারছড়া বাজারের মধুপুর দরবার গেইটে অপরটি কালারমারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের লাগায়ো মিনি বাজারে গরুর মাংস ব্যবসায়ীরা (কসাই) বিক্রি করতে দেখা গেছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে বেচাকেনাও অব্যাহত রেখেছে।

কালারমারছড়া বাজারের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী জানিয়েছে, শবে বরাতে গরু জবাই না করতে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অমান্য করে উল্লেখিত স্থানে গরু জবাই করার ধুম পড়েছে। চলেছে ভাগ-বাটোয়ারার জমজমাট আসর। কালারমারছড়া বাজারে তিনটি গরু জবাই হয়েছে। বিক্রিও ভালো হয়েছে। কালারমারছড়া বাজার এলাকার কসাই মোজাম্মেল, এমরান, মাহাবুব নামে স্থানীয় তিন ব্যক্তি স্থানীয় প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করে গরু জবাই করে বিক্রি করে যাচ্ছে। ফলে সচেতন লোকজনের মাঝে বিষয়টি নিয়ে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।

কালারমারছড়ারর কলেজ পড়ুয়া ছাত্র মোহাম্মদ সৌরভ, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের টাইম লাইনে লিখেছেন, সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি পাড়ার ভেতর গরু জবাই হইছে, এর পর শুনলাম বাজারে দুই জায়গায় গরু জবাই করে মাংস বিক্রি করছে।

ছবিগুলো তুলে পুলিশ ফাঁড়িতে গেলাম, এস আই স্যারের সাথে কথা বললাম, এবং তিনি ৩ জন কন্সটেবল সিভিল ড্রেসে পাঠালেন। কিছুক্ষণপর গিয়ে দেখি এখনো বিক্রি হচ্ছে।

ডিসি স্যার মানা করেছেন গরু জবায় না করতে, কিন্তু প্রশাসনের নির্দেশনা অমান্যকারীদের খোঁজখবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে মহেশখালী সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিবার্হী ম্যাজিষ্ট্রটেটট সুইচিং মং মার্মা।

পাঠকের মতামত: