ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ায় ভূমিহীন বিধবা আছিয়ার পাশে জেলা প্রশাসন, দিয়েছে নতুন ঘর

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী তথা মুজিববর্ষে বাংলাদেশে একজন মানুষও গৃহহীন থাকবেনা বলে ঘোষনা দিয়েছেন আওয়ামীলীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর এই ঘোষনার আলোকে কার্যক্রম বাস্তবায়নে নিরলশভাবে কাজ করছেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসক মো.কামাল হোসেন এর দিকনির্দেশনার আলোকে ইতোমধ্যে জেলার আট উপজেলায় শুরু হয়েছে ভুমিহীন মানুষের ঠিকানা গড়ার কর্মযঞ্জ। এরই আলোকে জেলা প্রশাসন কক্সবাজারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে উপজেলা প্রশাসন উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নে ভুমিহীন ও অচ্ছ্বল পরিবারকে একটি করে নতুন ঘর দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো.কামাল হোসেন এর নির্দেশনার আলোকে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ সামসুল তাবরীজ চকরিয়া উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নের প্রতিটি জনপদে ছুঁেট যাচ্ছেন। সরকারি খাসজমি চিহিৃত করে উপকারভোগী ভুমিহীন পরিবারগুলোর ঠিকানা তৈরী করে দিচ্ছেন। যেসব ইউনিয়নে খাসজমি আছে, কিন্তু অবৈধভাবে দখলে আছে অন্যজন। সেসব এলাকায় জটিলতা কাটিয়ে জমি উদ্ধারপুর্বক সেই জমিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার নতুন ঘর নির্মাণ করে দিচ্ছেন।

চকরিয়া উপজেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের অর্থবরাদ্দের আলোকে বর্তমানে উপজেলায় প্রথমধাপে নতুন ঘর পাচ্ছেন ৩৬ ভুমিহীন পরিবার। পরবর্তীতে উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নে মোট ১৮০টি ভুমিহীন পরিবারকে দেওয়া হবে একটি করে নতুনঘর। প্রতিটি ইউনিয়ন থেকে পাবেন ১০টি করে পরিবার। প্রতিটি ঘর নির্মাণে সরকারি বরাদ্দ ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা। মাটি ভরাটের কোন বরাদ্দ না থাকলেও সেটি করে দিচ্ছেন উপজেলা প্রশাসন। প্রতিটি সেমিপাকা ঘরে থাকছে ২টি রুম, একটি বারান্দা, একটি কিচেন, একটি ওয়াশরুম ও একটি বেসিন।

প্রথমধাপে চকরিয়া উপজেলার ৩৬ ভুমিহীন পরিবারের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার একটি নতুন ঘর পেয়েছেন হারবাং ইউনিয়নের বাসিন্দা স্বামীহারা আছিয়া বেগম। প্রায় ৭-৮ বছর পূর্বে তিনি স্বামীকে হারিয়েছেন। জীবন সংগ্রামে সারথী ১২ বছর বয়সের একমাত্র কন্যাটিও প্রতিতবন্ধী। মানুষের কাছে হাত পেতে চলে তাঁর সংসার। এখন বেচে থাকার লড়াইটা তার প্রতিদিনের।

সেই আছিয়া বেগমের পাশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নতুন ঘর নিয়ে হাজির হয়েছেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। হয়েছেন তাঁর বেচে থাকার লড়াইয়ে সাথী। মঙ্গলবার পহেলা ডিসেম্বর আছিয়া বেগমের সেই স্বপ্নের ঘর নির্মাণে অগ্রগতি সরেজমিনে দেখতে এসেছেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো.কামাল হোসেন। সাথে ছিলেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ সামসুল তাবরীজ।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো.কামাল হোসেন বলেন, স্বামীহারা ভুমিহীন আছিয়া বেগমকে একটি ঘর উপহার দিতে পেরে জেলা প্রশাসন ধন্য। প্রকৃত ভুমিহীন বাছাই করে তাকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের তালিকায় অর্ন্তভুক্ত করায় চকরিয়া উপজেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই। ভুমিহীন আছিয়া বেগম ঘর পাবার মধ্যদিয়ে বলতে চাই ‘মুজিববর্ষে বাংলাদেশে একজন মানুষও গৃহহীন থাকবেনা’ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণা বাস্তবায়নে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন বদ্ধপরিকর।

জানতে চাইলে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ সামসুল তাবরীজ বলেন, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের অর্থবরাদ্দের আলোকে চকরিয়া উপজেলায় প্রথমধাপে নতুন ঘর পাচ্ছেন ৩৬ ভুমিহীন পরিবার। পরবর্তীতে উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নে মোট ১৮০টি ভুমিহীন পরিবারকে দেওয়া হবে একটি করে নতুনঘর। ইতোমধ্যে প্রকৃত ভুমিহীন যাছাই-বাছাই শেষে একটি তালিকা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রতিটি ইউনিয়ন থেকে পাবেন ১০টি করে পরিবার। প্রতিটি ঘরে মাটি ভরাটে বরাদ্দ নেই, কিন্তু সেটি করে দিচ্ছেন উপজেলা প্রশাসন। প্রতিটি সেমিপাকা ঘরে থাকছে ২টি রুম, একটি বারান্দা, একটি কিচেন, একটি ওয়াশরুম ও একটি বেসিন। প্রতিটি ঘর নির্মাণে সরকারি বরাদ্দ ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা।

 

পাঠকের মতামত: